লোভ—বোনের নামের সরকারি ঘর বরাদ্দ নিয়ে অন্যকে ভাড়ায় দিলেন চেয়ারম্যান

বোনের নামে বরাদ্দ দেওয়া দুর্যোগ সহনীয় সরকারি ঘর অন্যকে ভাড়ায় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবারকে ১৪টি সেমিপাকা ঘর টিআর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি তার বোন ফাতেমা খাতুনের নামে নিজ বাড়ির সামনে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেন সরকারি টাকায়। তবে সে ঘরে বোন থাকেন না, থাকেন অন্যরা।

সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। ফাতেমা খাতুনের নামে দেওয়া সেমিপাকা ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার মুরাদ নামের এক ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের তারে জড়ালেন মিস্ত্রি, হাসপাতালে মৃত্যু

বসবাসকারী মুরাদ জানান, ফাতেমা বেগমের এই ঘরে তিনি এক বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন । তবে মুরাদের দাবি, তার কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নেওয়া হয় না।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গহিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার তার বোন ফাতেমা বেগমের নামে গহিরা ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকায় সরকারি খাস জমি বরাদ্দ নেন। কিন্তু সেই জমি যাদের দখলে ছিল তাদের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান আগের দখলদারদের কাছে আবার সেই জমি ছেড়ে দেন।

বাসিন্দারা আরও জানান, চেয়ারম্যান নুরুল আবছার তার বোন ফাতেমাকে কদলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের আরও একটি ঘর বরাদ্দ দেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমার বোন ফাতেমা খাতুনের স্বামী নেই। স্বামী মারা যাওয়ায় সে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফাতেমা সরকারি ঘর দেওয়ার আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে আমার পৈতৃক জমির পুকুর পাড়ে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউপিডিএফ—সেনাবাহিনী গোলাগুলি, উদ্ধার হলো একে-৪৭

সরকারি সেই ঘর নিজে না থেকে অন্যকে ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বাশি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এবং এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নিয়াজ মোরশেদকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের তালিকা অনুযায়ী ফাতেমা খাতুনকে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষে বুঝিয়ে দেওয়ার পর ফাতেমা খাতুন ওই ঘরে বসবাস শুরু করেন। তবে বর্তমানে বসবাস না করে ঘরটি ভাড়ায় দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

শফি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!