লাখো মানুষের জশনে জুলুস ২০ অক্টোবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে আগামী ২০ অক্টোবর সকাল ৮টায় মুরাদপুরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে বের হবে জশনে জুলুস। এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হজরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)।

প্রতিবছরের মতো এবারও জুলুসে লাখো মানুষের সমাগমে পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ.) বর্ণাঢ্য র‌্যালি। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে চট্টগ্রামের বাইরের জেলাগুলো থেকে জুলুসে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছো। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশকে নিজ নিজ জেলা সদরে ২০ অক্টোবর জুলুস আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মু. আনোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বপ্রথম জুলুসটি বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া। ওই জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ আল কাদেরি। এরপর ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জুলুসে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ মো. তৈয়ব শাহ (রা.)।

আরও পড়ুন: রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানাল কর্ণফুলী গাউসিয়া কমিটি

মূলত ১৯৭৬ সালের পর থেকেই ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১২ রবিউল আওয়াল চট্টগ্রামে এই জুলুসের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। যা ক্রমান্বয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার, সংগঠন ও সংস্থাগুলোও আয়োজন করতে শুরু করে। ১৯৮৬ সালের পর থেকে আল্লামা সৈয়দ মু. তাহের শাহর নেতৃত্বে জুলুসের র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ রবিউল আউয়াল (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস শুরু হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, অলিখাঁ মসজিদ, চকবাজার, প্যারেড মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশ, চন্দনপুরা, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোবারক, চেরাগি পাহাড় মোড়, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আলমাস-ওয়াসা, জিইসি, ২ নম্বর গেইট হয়ে জুলুস পুনরায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার মাঠে এসে শেষ হবে। সেখানে মিলাদ মাহফিল, জোহরের নামাজ ও দোয়া-মোনাজাত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মু. অছিয়র রহমান, আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের এডিশনাল সেক্রেটারি মু. সামশুদ্দীন, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি কাজী সামশুর রহমান, জামেয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. দিদারুল ইসলাম, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাওলানা আবদুল্লাহ ও সাবের আহমদ।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!