লকডাউন—যে কারণে বাজারে ক্রেতার ঢল

লকডাউনের খবর আসার পর থেকেই বাজারে বেড়ে গেছে ক্রেতার চাপ। কাঁচাবাজার থেকে সুপারশপ— সবখানেই ক্রেতার ঢল।

রোববার (২৭ জুন) সকাল থেকেই নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, বহদ্দারহাট ও কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে মানুষের ঢল। একইসঙ্গে ভিড় দেখা গেছে নগরের মুদি দোকান ও সুপারশপেও।

বেশ কয়েকজন মুদি দোকানি জানান, লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই গ্রাহকের চাহিদা বেড়েছে। উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পর্যাপ্ত পণ্য মজুদে।

পাইকারি দরে পণ্য বিক্রি করা রেয়াজউদ্দিন বাজারের মুদি দোকানগুলোতে রোববার সকাল গ্রাহকের ঢল ছিল। পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা জানান— লকডাউনের ঘোষণা এসেছে। এই লকডাউন কখন উঠবে আমরা জানি না। লকডাউনে যাতে খাবারের সংকট পড়তে না হয় সেজন্যই বাজার করতে আসা।
আবার অপর কয়েকজন জানান, লকডাউনে পণ্যের দাম বেড়ে যাতে পারার শঙ্কা রয়েছে। তাই তারা আগেভাগেই পর্যাপ্ত পণ্য সংগ্রহ করে রাখছেন।

শনিবার (২৬ জুন) তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান বিধিনিষেধ শুরু হবে সোমবার থেকে। কিন্তু কঠোর লকডাউন বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে সাতদিন থাকবে।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুন) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দেশের সর্বত্র কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার লকডাউন ঘোষণার পর শনিবার (২৬ জুন) থেকেই কাঁচাবাজারগুলোতে গ্রাহকের চাপ বাড়তে থাকে। যা অব্যাহত আছে রোববারও।

সরেজমিন চকবাজার ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ও কাঁচাবাজারে বাজারে ক্রেতার ভিড়। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানেও ভিড় ছিল উপচেপড়া। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ এবং বিভিন্ন ধরনের মসলার চাহিদা ছিল বেশি।

পশ্চিম বাকলিয়ার বাসিন্দা গৃহিণী হোসনে আরা বলেন, লকডাউন কতদিন হবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই আগে থেকেই কিছু জিনিস কিনে রাখছি।

পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা রাকিব আহমেদ বলেন, লকডাউন আসছে, তাই সকালেই বাজারে চলে আসলাম। পরে আসলে হয়তো আর তেমন কিছু পাওয়া যাবে না। আবার দাম বাড়ারও শঙ্কা আছে। তাই মুদি আইটেমসহ মাছ, সবজি ও মাংস কিনলাম।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!