৪ ঘণ্টা গোলাগুলির পর র‌্যাবের কব্জায় রোহিঙ্গাদের অস্ত্র কারখানা

৫ পিস্তল, ৫ বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, আটক ৩

মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা জড়িয়ে পড়েছে নানা অপরাধে। মাদক বিক্রি, অস্ত্র বিক্রিসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধে যুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের একটি অংশ। র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে ধরাও পড়ছে এসব সন্ত্রাসী। তবুও দিনদিন বেপোরয়া হয়ে ওঠছে তারা।

এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। সোমবার (৮ নভেম্বর) ভোরে কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ে এ অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়ে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশন-৪ এর গহীন পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ১০টি অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ তিন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘অস্ত্র বানানোর’ দক্ষ কারিগরকে পুলিশ ধরল ৫ বন্দুকসহ

আটকদের মধ্যে রয়েছেন দুই ভাইও। তারা হচ্ছে কুতুপালং ক্যাম্প সি-১ জি ব্লকের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে বাইতুল্লাহ (১৯) ও হাবিব উল্লাহ (৩২)। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে একই ক্যাম্পের জি ব্লকের জাহিদ হোসেনের ছেলে মো. হাছুন (২৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়েরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এ কারখানা তৈরি করে অস্ত্র বানিয়ে আসছিল। এখান থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবারহ করা হচ্ছিল।

তিনি বলেন, সোমবার ভোরে চার ঘণ্টার বেশি সময় গুলিবিনিময়ের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণে নেয় র‌্যাব। পরে সেখান থেকে ৫টি পিস্তল, ৫টি বন্দুক এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে র‌্যাব। আটকদের উখিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!