‘রিকশা’—রাজ্য আছে, রাজত্ব নেই

ব্যবধানটা মাত্র কয়েকদিনের। এর মধ্যেই বদলে গেছে চিত্র। সীমিত পরিসরের লকডাউনে সব গণপরিবহন বন্ধ ছিল। রাস্তাজুড়ে ছিল রিকশা আর রিকশা। ভাড়াটাও আদায় করেছেন তারা ইচ্ছেমতো।

তবে কঠোর লকডাউনে বদলে গেছে দৃশ্যপট। এই লকডাউনেও রাস্তাজুড়ে রিকশা থাকলেও নেই যাত্রী! এ যেন ‘রাজ্য আছে, রাজত্ব নেই’ পরিস্থিতি।

যাত্রী সংকটে ভুগতে থাকা অনেক রিকশাচালক এখন রাস্তায় অলস সময় কাটাচ্ছেন। নগরের প্রধান রাস্তার পাশাপাশি বিভিন্ন অলিগলির সামনেও রিকশা চালকদের দেখা গেছে যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে। পাশ দিয়ে কেউ যেতেই একাধিক রিকশা চালক আগ বাড়িয়ে জানতে চান, কোথায় যাবেন।

সরেজমিন নগরের চকবাজার, আন্দকিল্লা, লালদীঘি মোড়, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, আমতল মার্কেট, কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, জিইসি, দু’নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকা ঘুরে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।

কয়েকজন রিকশা চালক জানান, রাস্তায় যাত্রী কম, তাই ভাড়াও কম। যাত্রীর তুলনায় রিকশার সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া মৌসুমি রিকশা চালকের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। তাই গত কয়েকদিন আগেও যে আয় ছিল এখন তা অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে।

রিকশা চালক জিয়া বলেন, এর আগের লকডাউনে দিনে হাজার টাকার উপরে আয় করেছি। কিন্তু বর্তমানে সারাদিনে ৫০০ টাকা তুলতেই কষ্ট হচ্ছে । রাস্তায় আগের তুলনায় যাত্রী নেই।

অপরদিকে কয়েকজন যাত্রী জানান, কঠোর লকডাউনে রাস্তায় যাত্রী কমে যাওয়ায় চালকেরা ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছেন। এখন যাত্রীর চেয়ে রিকশার সংখ্যা বেশি।

রিকশাযাত্রী আবসার উদ্দীন বলেন, সীমিত লকডাউনে চকবাজার থেকে আন্দরকিল্লা আসা-যাওয়ায় প্রতিদিন গুণতে হতো ১০০ টাকা। আর এখন কঠোর লকাউনে আসা-যাওয়ায় দিতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। ভাড়া আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এখন যাত্রীর চেয়ে রিকশার সংখ্যা বেশি।

এর আগে সোমবার (২৮ জুন) সকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয় সীমিত লকডাউন। বন্ধ ছিল সব ধরনের গণপরিবহন।

গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে রিকশা যাত্রীদের গুণতে হয়েছিল দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রীদের মাঝে ছিল ক্ষোভ। ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাকবিতণ্ডের ঘটনাও ঘটে।

বর্তমান বাড়তি ভাড়ার চিত্র নেই, নেই যাত্রীদের সেই অভিযোগ। এ অবস্থায় যাত্রীরা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!