রাউজানে মেয়ের সামনে মাকে কোপানো সুমন মুন্সি পুলিশের জালে

মাকে কিরিচ দিয়ে কোপাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। মেয়ে এক হাতে টর্চলাইট জ্বালিয়ে আর অন্য হাতে স্মার্টফোনে সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করছিল। এসময় তিন বছরের আরেক ছোট মেয়ে কান্না করছিল অঝোরে। এ ঘটনা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ভিডিও দেখে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ২টায় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের কাজীপাড়ার আবদুল হাকিমের স্ত্রী তাহেরা আকতারকে (৩৮) কিরিচ দিয়ে কোপায় সন্ত্রাসীরা। সেই ভিডিও ভাইরালের পর এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ভুক্তভোগীর মেয়ে সানজিদা। এরপর একইদিন বিকেলে হামলার ঘটনায় জড়িত সুমন মুন্সি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে রাউজান থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার সুমন মুন্সি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

আরও পড়ুন : রাউজানে নারী কর্মকর্তার ওপর হামলা, ধরা খেল কালা শহীদ

জানা যায়, প্রতিবেশী মঈনুদ্দীন ছরওয়ারের সঙ্গে তাহেরা বেগমের স্বামী আবদুল হাকিমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে আদালতের শরনাপণ্ন হলে আদালত বিবাদমান জায়গায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উভয়পক্ষকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বলে।

আহত নারী তাহেরা বেগম বলেন, আইন অমান্য করে মাটি ভরাট ও পাকা ভবনের কাজ শুরু করায় প্রতিবাদ করলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে হামলা চালানো হয়। কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পর ঘর থেকে আমার স্বামীর মাছের ব্যবসার মূলধন এক লাখ তিন হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়।

তাহেরা বলেন, আমার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যেই তারা এসেছিল। আমি মঈনুদ্দীন ছরওয়ারের ভাতিজা সুমন মুন্সী ও মাসুমকে চিনতে পারি। কিরিচ দিয়ে কোপ দেওয়া ব্যক্তিই সুমন মুন্সি। ১৫-২০ জন ছিল। তাদের সবার কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল।

এ বিষয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাহেরা বেগমের স্বামী আবদুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

এসএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm