রক্ত দিয়ে সেই প্রসূতির ‘জীবন বাঁচাল’ কোতোয়ালি থানা পুলিশ

ওসির গাড়িতে হাসপাতাল যাওয়া সেই প্রসূতি কুলসুম এক ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই তাঁর রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। এবারও এগিয়ে এলো সেই কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রক্ত দিয়ে কুলসুমের জীবন বাঁচালেন এসআই সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে প্রসূতি কুলসুম অসুস্থ বোধ করেন। কঠোর বিধিনিষেধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় উপায় না দেখে কোতোয়ালি থানায় ফোন দেন তাঁর স্বামী ওমর ফারুক শান্ত। ১০ মাসের প্রসূতি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিতে পারছেন না শুনে এগিয়ে আসেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দীন। ওসির গাড়িতে করেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কুলসুমকে।

শনিবার গভীর রাতে ফুটফুটে এক শিশু সন্তান জন্ম দেন কুলসুম। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই কুলসুমের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন, জরুরি ভিত্তিতে কুলসুমের জন্য বি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন।

গভীর রাতেই বিষয়টি কোতোয়ালি থানার ওসিকে জানান শান্ত। ওসি নেজাম উদ্দীন তৎক্ষণাৎ খোঁজ নিতে থাকেন বি পজিটিভ রক্তের। এ সময় এসআই সাদ্দাম এগিয়ে আসেন। ওসিকে বলেন—তাঁর রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ, তিনি রক্ত দিবেন।

গভীর রাতেই এসআই সাদ্দাম ছুটে গেলেন চমেক হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে বাঁচালেন কুলসুমের জীবন।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, `একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী গাড়ির জন্য হাসপাতাল যেতে পারছিলেন না। তাই তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। গভীর রাতে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই নারীর রক্তের প্রয়োজন হয়। তাৎক্ষণিক রক্ত যোগাড়সহ তাঁর চিকিৎসার সব খরচ বহন করছি। বর্তমানে সেই নারী ও তাঁর সন্তান সুস্থ আছেন।’

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!