রক্তাক্ত শতাধিক শ্রমিক, যে কারণে রণক্ষেত্র সিইপিজেড

তুচ্ছ ঘটনায় দুটি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষত্র পরিণত হয় চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)। এ ঘটনায় উভয় পোশাক কারখানার শতাধিক শ্রমিক রক্তাক্ত হয়েছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে যৌথবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে এ ঘটনায় আহত শ্রমিকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেপজা হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় কারখানা দুটিতে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুন : ফ্যাক্টরীতে তালা—১৫০০ শ্রমিকের মাথায় হাত, বেতন দিচ্ছে না পদ্মা ওয়্যারস

ইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত বুধবার আন্দোলন করেন জেএমএস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। আজ সকালে একই দাবিতে ইপিজেড এলাকার ৬ নম্বর সেক্টরের একটি ফটক আটকে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় মেরিমকোর শ্রমিকদের এ আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান জেএমএসের শ্রমিকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরপর শুরু হয় সংর্ঘর্ষ। এতে দুই কারখানার শ্রমিকরা জখম হয়। পরে যৌথবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে দুই পোশাক কারখানায় যোগাযোগ করা হলে উর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। মালিকপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কারখানা দুটিতে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থতি শান্ত রয়েছে।

চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স-০৩ এর মেজর আরেফিন কবির জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তুচ্ছ ঘটনায় এ ঘটনার সূত্রপাত। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কারখানা দুটিতে আগামী ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকে বেপজা হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm