‘রক্তাক্ত র‌্যাব’—সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে দা’র কোপ খেল র‌্যাবের ৪ সদস্য

বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামে ইয়াবা কারবারি দুর্ধর্ষ ডাকাত আলমগীরের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে রামদা’র কোপে গুরুতর আহত হয়েছে ৪ র‌্যাব সদস্য।

৭-৮ জন সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের ওপর হামলা করে পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত র‌্যাব সদস্য গিয়ে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ আলমগীরের ছেলে সন্ত্রাসী লোকমান হাকিমকে (২০) গ্রেপ্তার করে।

বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলীয় গণ্ডামারায় রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত র‌্যাবের অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র‌্যাব বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সন্ত্রাসী হাকিমকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : বলিরহাট কাণ্ড/লোক জড়ো করে র‌্যাবের ওপর হামলা, আটক ১৫

দায়ের কোপে গুরুতর আহত র‌্যাব সদস্যরা হলেন— নায়েক ওবায়দুল হক সরকার, কনস্টেবল মোস্তফা কামাল, র‌্যাবের সোর্স মুজিবুর রহমান (৩৫) ও আনোয়ার হোসেন (৩৪)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

র‌্যাব-৭’র পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল আলম বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি কমপক্ষে ৮ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত মো. আলমগীর প্রকাশ আলম ডাকাতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ইয়াবা বেচাকেনার প্রস্তুতি নিয়েছে। আমাদের দল অভিযানে গেলে আলমগীর ডাকাত পালিয়ে যায়। তার ছেলে লোকমান হাকিমকে ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা লোকমানকে ছিনিয়ে নিতে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে র‌্যাবের ওপর হামলা চালায়। পরে র‌্যাব সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়।

বাঁশখালী থানার এস আই মো. আক্তার হোসেন বলেন, র‌্যাব-৭’র পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল আলম ও এসআই বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেবনাথ বাদি হয়ে সন্ধ্যায় অস্ত্র আইন ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।

উজ্জ্বল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!