‘মেজর সিনহা হত্যা’—জেরা করতে গিয়ে ‘অসুস্থ’ চট্টগ্রামের ২ বাঘা উকিল

সিনহা হত্যা মামলায় অংশ নিতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়া দুই বাঘা আইনজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন! ওই দুই আইনজীবী হলেন রানা দাশগুপ্ত ও চন্দন দাশ। তাঁরা দুজনই আসামিপক্ষের আইনজীবী।

জানা যায়, সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেরা করছিলেন অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ। জেরা করার একপর্যায়ে এজলাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আসামি লিয়াকতের এই আইনজীবী। পরে কিছুক্ষণ সেখানে বিশ্রাম নিয়ে ফের জেরা শুরু করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

যোগাযোগ করা হলে অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কয়েকদিন ধরে আমার ভালো ঘুম হয়নি। এ কারণে জেরা করার একপর্যায়ে অসুস্থ বোধ করি। তবে কিছুক্ষণ পর সুস্থ বোধ করলে আমি জেরা সম্পন্ন করি।

আরও পড়ুন: খুনের মামলার আসামি ওসি প্রদীপের ‘মোবাইল আলাপ’—প্রত্যাহার হলো ৪ পুলিশ

এদিকে অসুস্থতার পর চন্দন দাশ ফের জেরা শুরু করলেও তা হয়ে উঠেনি ওসি প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের। মামলায় অংশ নিতে হোটেল থেকে বের হওয়ার আগমুহূর্তে অসুস্থ হয়ে আদালতের পরিবর্তে তাঁকে যেতে হয় হাসপাতালে!

জানা যায়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অংশ নিতে কক্সবাজার গিয়েছিলেন সিনিয়র আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত। বুধবার (২৫ আগস্ট) মামলায় অংশ নিতে প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু হোটেল থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

এরপর তাঁকে হোটেল থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে প্রায় তিন ঘণ্টা থাকার পর তিনি ফের হোটেলে ফিরে যান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ওইদিন আর মামলায় অংশ নিতে পারেননি। এরপর তিনি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের বাসায় ফিরে যান।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত রোগ, হাঁটু ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভোগছেন নামকরা এই আইনজীবী। সিনহা হত্যা মামলায় আসামি প্রদীপের পক্ষে অংশ নিতে তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার গিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘপথ অতিক্রম করে যাতায়তের কারণে তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মামলায় অংশ নেওয়ার জন্য হোটেল থেকে বের হওয়ার আগমুহূর্তে রক্তচাপ বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিন ঘণ্টা থাকার পর আবার হোটেলে ফিরে আসি। তবে আমি আর মামলায় অংশ নিইনি। বলতে গেলে মামলায় অংশ নেওয়ার মতো অবস্থা আমার ছিল না। বর্তমানেও অতিরিক্ত রক্তচাপ ও হাঁটু ব্যথা রয়েছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের কাছে থাকবে ওসি প্রদীপ ও চুমকির সম্পদ

এদিকে ওইদিন আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তারা হলেন— মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ও ১ নম্বর সাক্ষী মেজর সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিনে সিফাতের জেরা সম্পন্ন হয়। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

সিএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!