চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স, বাংলার মুখ, রেড সিগনাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কার অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। গ্রুপের সদস্যরা সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
চবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর পর ৩১ জুলাই রাতে চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নিষ্ক্রিয়, জামায়াত-বিএনপি পরিবারের ছেলেদের স্থান দিয়ে কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ৩ দফা দাবিতে আমরা নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছি।
এদিকে তিন দাবিতে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবিগুলো হলো- ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে পদ দিতে হবে, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন এবং কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও উপগ্রুপ ভিএক্স-এর প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ঘোষণার পর থেকেই এ কমিটি ব্যাপক সমালোচিত। কমিটি সংশোধনের জন্য আমরা প্রথম থেকেই আন্দোলন করে আসছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আছে কয়েক হাজার। যতই চেষ্টা করি সবাইকে তো কমিটিতে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যোগ্যতার ভিত্তিতে কমিটি দিতে।
তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়েছে তাদেরকে সামনে হল ফ্যাকাল্টি কমিটিতে সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া তাদেরকে আমি বলেছি বিতর্কিত কেউ থাকলে তা প্রমাণসহ দিতে।, আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু তারা তা করছে না, শুধুই আন্দোলন করছে।
এর আগে ১০ আগস্ট (বুধবার) সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শাখা ছাত্রলীগের ৯৪ জন পদধারী নেতা। ওইসময় তারা উল্লেখিত তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর আবারও মানববন্ধন করে একই দাবি জানান তারা।
আরএ/এসআর


