তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহর খুনিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে নিরপরাধ কেউ এই মামলায় আসামি হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্তসাপেক্ষে তাদের রেহাই দেবে।
শনিবার (৮ মে) রাঙ্গুনিয়ার কোদালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কর্মহীন পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৩ এপ্রিল রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে কোদালায় বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-বিএনপি করোনাকালীন এই বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে নেই। কোনো মানুষকে তারা এক মুঠো চালও দেয়নি। অথচ করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টার। সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক সওদাগরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নূর লিটন এবং সদস্য নাছির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের ৪০০ দরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এর আগে মন্ত্রী নিহত মুহিবুল্লাহর কবর জেয়ারত করেন এবং তার পরিবারের কাছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি অটোরিকশা উপহার দেন।
আলোকিত চট্টগ্রাম