আমেরিকা প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নিয়মিত মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মহানগর বিচারক সরোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে ভুক্তভোগী শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ইমরান হায়দার (৪৮) ও হারুন হায়দারের (৬৫) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন।
মামলার আসামি হারুন হায়দার সদরঘাট থানার কদমতলীর ৭১ নম্বর রাওশন মসজিদ লেইনের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে। অপর আসামি ইমরান হায়দার হারুন হায়দারের ছেলে।
আরও পড়ুন: জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে চক্রান্তে উত্তাল চট্টগ্রাম, এবার ১০১ বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবাদ
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী শাহ আলম ১৯৭১ সালে ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের কমান্ডে সীতাকুণ্ড এলাকায় যুদ্ধ করেন। দেশ স্বাধীনের পরে তিনি আমেরিকা চলে যান। আসামিরা বিভিন্ন সময় টেলিফোন ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চুড়ান্ত করছে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন জানিয়ে ইমরান ও ফারুক মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরীর পক্ষ হয়ে কাজ করবেন জানায়। বাদী শাহ আলম চৌধুরী যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁর সনদ না থাকায় তিনি বিষয়টি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন। তখন অভিযুক্ত ইমরান ও ফারুক তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাগজপত্র এবং টাকা চাইতেন। এভাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের প্রত্যায়নপত্র, মুক্তিযোদ্ধা নিবাসের বরাদ্দপত্র, কল্যাণ ট্রাস্টের প্রত্যায়নপত্রসহ বিভিন্ন কাগজ তোলার নামে বাদীর কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করেন। পরে তিনি জানতে পারেন এসব কাগজের সব জাল।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আসামিরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার চুড়ান্ত তালিকায় নাম ঢুকানো এবং বিভিন্ন কাগজ বানানোর নামে কয়েক দফায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আজ (মঙ্গলবার) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করলে আদালত এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা নিতে সদরঘাট থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।