স্বর্ণের বার চুরির অভিযোগে ৭২ ঘণ্টা আটকে রেখে যুবককে মারধরের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর রাতারাতি অভিযুক্ত যুবক ইমন দে’র বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দোকান মালিক ওয়াহেদ। এরপর পুলিশি অভিযানে চুরি যাওয়া ৬টি সোনার বার উদ্ধারসহ দুজন আটক করা হয়েছে। তবে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে ‘হাজারী গলির স্বর্ণ সিন্ডিকেট-চুরির অভিযোগ এনে যুবককে বেঁধে মারছে ৭২ ঘণ্টা ধরে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরপরই স্বর্ণের বার চুরির ঘটনায় মধ্যরাতে মামলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহেদুল কাবির আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সোমবার রাত ১২ টা ৫ মিনিটে দোকান মালিক স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত যুবক ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তিতে আরও দুজনকে আটকের পর ৬টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। আমাদের আরও কিছু অনুসন্ধান চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: হাজারী গলির স্বর্ণ সিন্ডিকেট—চুরির অভিযোগ এনে যুবককে বেঁধে মারছে ৭২ ঘণ্টা ধরে
এর আগে জুয়েলারি সমিতির সভাপতি মৃণাল কান্তি ধরের সঙ্গে কথা হলে এ ঘটনায় তিনি কিছু জানেন না বলে আলোকিত চট্টগ্রামকে জানান। কিন্তু রাত ৭টায় ইমনের মাকে দেখা করার জন্য সময় দেওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানাতেই তিনি অকপটে আবার স্বীকার করেন।
ইমনের মা শিল্পী দে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গতকাল (সোমবার) রাত সাড়ে ৮টার দিক কোতোয়ালী থানায় গিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ করার পর পুলিশ আমার সঙ্গে হাজারী গলি এসে আমার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে দোকনের মালিক ওয়াহেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে দোষী হলে তাকে কেন আগে আইনের আওতায় আনা হয়নি?
এর আগে সোমবার রাতে ইমনের মা শিল্পী দে আলোকিত চট্টগ্রামকে অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার থেকে স্বর্ণের বার চুরির অভিযোগে আমার ছেলেকে মালিকসহ বেশ কয়েকজন বেঁধে মারধর করছেন। মারধরে আমার ছেলের রক্তাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তারা জুয়েলারি সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।