চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সংঘর্ষের জেরে জামায়াতের কার্যালয় ও দলীয় সমর্থকদের দোকানে তালা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা৷
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারের ছয়টি দোকান ও কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়।
এদিকে আজ (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তালা দেওয়া দোকান ও জামায়াতের ইউনিয়ন কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন বলেন, সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের দুটি পক্ষের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এলাকায় থাকলে এটি হতে দিতাম না। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় বিএনপির অতি উৎসাহী কিছু লোক জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকানে তালা দিয়েছে। যারাই এ কাজ করেছে তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমি দুপুরে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে দোকানগুলোর তালা খুলে দিয়েছি।
আরও পড়ুন : মিরসরাইয়ে বালু সরবরাহ নিয়ে সংঘর্ষে বিএনপি-জামায়াত, রক্তাক্ত ৪
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার দিন জেলায় দলীয় কর্মসূচি থাকায় আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। জোরারগঞ্জ বাজারে সংঘর্ষের বিষয়ে জানি না। খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত নেতাকর্মীদের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। যদি হয়ে থাকে তবে তা ঠিক হয়নি।
একই প্রসঙ্গে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, সোমবার জোরারগঞ্জে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বিএনপির লোকজন। এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সাথে কথা হচ্ছে। সমঝোতার মধ্যে দোকানপাট খুলে দিলে ভালো তা না হলে আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
যোগাযোগ করা হলে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু সরবরাহ নিয়ে সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি নেতা মাসুকুল আলম ও জামায়াতের জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এএ/আরবি