করোনা আক্রান্ত মা-ছেলে দুজনের অবস্থা মুমূর্ষ। মা কানন প্রভা আগে থেকে নগরের জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। কিন্তু ছেলের মুমূর্ষ অবস্থা দেখে নিজের আইসিইউ শয্যা ছেড়ে দেন মা। আর সেই আইসিইউ শয্যায় নিয়ে যাওয়া হলো ছেলেকে।
গত ২৮ জুলাই আইসিইউ থেকে নামানোর এক ঘণ্টা পর মা কানন প্রভা মারা যান। সেই থেকে ছেলে শিমুল পালকে (৪২) বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা শুরু করেন জেনারেল হাসপাতালের করোনা বিভাগের চিকিৎসকেরা। মায়ের আত্মাহুতিতে বেঁচে যাওয়া সেই ছেলে অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। একটু সুস্থ হওয়ার পরপরই হাসপাতালের বেডে তিনি তাঁর মাকে খুঁজছেন।
আরও পড়ুন: ‘মায়ের আত্মাহুতি’—ছেলেকে বাঁচাতে ছেড়ে দিলেন নিজের আইসিইউ
এর আগে ২১ জুলাই থেকে শিমুল করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে এখন কিছুটা সুস্থ শিমুল পাল। শরীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন অনেকটা উন্নতি হয়েছে ৷এখন তাঁর মাত্র পাঁচ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার (১৫ আগস্ট) শিমুলকে আইসিইউ থেকে নামিয়ে সাধারণ শয্যায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরপরই শিমুল তাঁর মাকে খুঁজছেন। তবে তাঁকে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি এখনো কেউ জানাননি।
শিমুল জানতে চান, তাঁর মা কেমন আছেন। চিকিৎসকসহ সবাই তাঁকে বলেছেন তাঁর মা ভালো আছেন৷
গত ১৫ জুলাই থেকে শিমুলের মা করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ছিলেন। শিমুলকে যখন আনা হয় তখন তাঁরও আইসিইউর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আইসিইউ শয্যা খালি না থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে মায়ের অনুরোধে তাঁর আইসিইউ শয্যায় তুলে দেওয়া হয় শিমুলকে। কিন্তু এর এক ঘণ্টা পর মারা যান শিমুলের মা। তাঁদের বাসা নগরের দেওয়ানবাজার এলাকায়।
আরও পড়ুন: মেয়েকে ছাদে পাঠিয়ে মায়ের আত্মহত্যা
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আহমেদ তানজিমুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, তিনি (শিমুল) এখন অনেকটা সুস্থ। যখন আনা হয়েছিল তখন তাঁর স্যাচুরেশন ছিল ৮০ লিটার অক্সিজেন দিয়ে ৪০, এখন ৫ লিটারে ৯৭ আছে। দু–এক দিন পর ছেড়ে তাঁকে দেওয়া হবে। এখন তিনি মাকে খুঁজছেন। আমরা বলেছি, মা সুস্থ আছেন।
আলোকিত চট্টগ্রাম