মার্কেট নির্মাণের জন্য ভরাট চলছে বছরজুড়ে পানি থাকা শতবর্ষী জলাশয়

চকরিয়ার বরইতলী নতুন রাস্তার মাথায় শত বছরের একটি জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। ভরাটের পর সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হবে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানান, হাশেম উদ্দিন নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি শতবর্ষী জলাশয়টি ভরাট করছেন। দিন-রাতে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে পাহাড় থেকে মাটি এনে জলাশয়টি ভরাট করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১০-১২ জন শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, জলাশয় ভরাট করা পরিবেশ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে এসব আমলে নেননি অভিযুক্ত ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: ‘জবরদখল’—অন্যের দোকান দখল করে ভাড়া নিচ্ছেন সেন্ট্রাল প্লাজা মার্কেট সমিতির সভাপতি

এদিকে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় জলাশয়ে মাটি ভরাট কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে নিয়োজিত শ্রমিকদের। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিও স্বীকার করেছেন মার্কেট নির্মাণের কথা।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জলাশয়টি শত বছরের পুরনো। ওই জলাশয়ে মাছ চাষ করে স্থানীয় লোকজন অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর জলাশয়ের পানি ব্যবহার করেন আশপাশের অন্তত ২ শতাধিক পরিবার। এটি ভরাট হয়ে গেলে আশপাশের মানুষ পানির সংকটে পড়বে। তারা জলাশয়টি রক্ষায় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

স্থানীয় আবদুল হক নামে এক বৃদ্ধ বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে জলাশয়টি দেখে আসছি। জলাশয়ে সারাবছর পানি থাকে। এর ফলে এলাকায় পানির সমস্যা নেই। এটি দখল হয়ে গেলে পানির সমস্যা প্রকট হবে, মানুষের কষ্ট বাড়বে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাশেম উদ্দিনের মুঠোফোনে বলেন, জলাশয়ের মাঝখানে পাড় বেঁধে সামনের অংশে মার্কেট নির্মাণ করা হবে। এখান থেকে আমি জমি ক্রয় করেছি।

আরও পড়ুন: পতেঙ্গা সৈকতে বার্মিজ মার্কেটে আগুন, পুড়ল ৩ দোকান

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক মাহবুব ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, জলাশয় ভরাট করা পরিবেশ আইনের ৬ উপধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুকুল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!