ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে নাম বাদ দিতে যুবদল সভাপতি মো. শাহাজাহানের বিরুদ্ধে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন বৈরাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবিল আহমেদ সাব্বির। এ ঘটনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে দুমাসেও এ বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানান বিএনপি নেতা সাবিল আহমেদ সাব্বির।
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা সাবিল আহমেদ সাব্বির।
তিনি বলেন, আমাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ মামলা থেকে বাদ দিতে আমি বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামিমের সহযোগিতা চাই। পরে তিনি জেলা যুবদল সভাপতি মো. শাজাহানের কাছে যেতে বলেন। তাঁর কাছে মীমাংসার জন্য গেলে তিনি ৪ লাখ টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি স্থানীয় বিএনপির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত থাকার অভিযোগে হয়রানির শিকার হয়েছি। এছাড়া বিএনপির নামধারী উত্তর বন্দর ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জসীম উদ্দীন এবং শাহানাজ বেগমের সঙ্গে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার এবং শ্বশুরপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন মামলা চলমান।
সাবিল আহমেদ সাব্বির বলেন, ৫ আগস্টের পর বিএনপির নামধারী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের দালালরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুবদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এসএম আব্দুল্লাহ হারুন (চৌকন), উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আহমেদ এবং মো. মাসুদ চৌধুরীর যোগসাজশে সিইউএফএল, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার, ইউনাইটেড গ্রুপ এবং কেইপিজেডের জুট ব্যবসা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় এক ঠিকাদারের ব্যবসা দখলে নিতে গত ২৬ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় আমাকে ৫ নম্বর আসামি ও শ্যালক সোহরাব হোসেন সৌরভকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়।
আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলায় বিএনপি কর্মী হয়ে নিজের নাম দেখে হতাশ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা সাবিল আহমেদ সাব্বির। তিনি বলেন, মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর অভিযোগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর অভিযোগ করেছি। কিন্তু দুমাসেও এ বিষয়ে দলীয়ভাবে সহযোগিতা পাইনি।
অভিযোগ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহাজাহানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী এসএম আব্দুল্লাহ হারুনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কাঞ্চন/আরবি