বন্দরের সচিব সেজে লাখপতি বনে যাওয়া প্রতারক সেকান্দর আলীর বিরুদ্ধে ফের মামলা হয়েছে। বন্দরের এই ‘ভুয়া সচিবের’মামলাটি করেছেন আব্দুল মতিন নামে আরেক ভুক্তভোগী।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালী থানায় মামলাটি করেন মতিন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সেজে চাকরির নামে বাণিজ্য ও প্রতারণার অভিযোগে সেকান্দরকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ওইদিন ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সেকান্দর, তার সহযোগী নুর মোহাম্মদসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন আবুল কাশেম নামে এক ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: ‘পুঁজি ছাড়াই লাখপতি’—চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সেজে চাকরির নামে বাণিজ্য
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেকান্দরের ছবি ও সংবাদ দেখে আজ (রোববার) থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আব্দুল মতিন। এবার অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে মতিন ও তাঁর বন্ধু মো. আলমগীর কবিরের (৩২) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারক সেকান্দর।
প্রতারক সেকান্দর আলী নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে সেকান্দরের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থী লোকনের কাছে সেকান্দর নিজেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দেন। এরপর চাকরি দেওয়ার কথা বলে নুর মোহাম্মদের মাধ্যমে অগ্রিম হিসেবে নেন লাখ লাখ টাকা।
ইন্টারনেট থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে প্রার্থীদের বাসায় এবং ভুয়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজ ডাকযোগে থানায় পাঠাতেন। থানা থেকে পুলিশ চাকরিপ্রার্থীর বাড়িতে গেলে সেকান্দর চাকরি হয়ে গেছে বলে অবশিষ্ট টাকা আদায় করতেন। এরপর চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ভয়ঙ্কর ফাঁদ, ‘টার্গেট ধনীর দুলাল’—স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা স্বামীর
যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সেকান্দর আলী ও নুর মোহাম্মদ পেশাদার প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রতারণা করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের একমাত্র আয়ের উৎসও এটি। বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীর সরলতার সুযোগ নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে সেকান্দরের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর ‘পুঁজি ছাড়াই লাখপতি’—চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সেজে চাকরির নামে বাণিজ্য শিরোনামে আলোকিত চট্টগ্রামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
আরবি