পছন্দের প্রার্থীকে আনতে কর্ণফুলীতে মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম!

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার একটি মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন আবেদনপ্রার্থী। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে এ অভিযোগ করেন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারী মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহসহ দুই প্রার্থী।

তাদের অভিযোগ পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিকলবাহা অহিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে অভিযোগকারীরা স্বশরীরে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে তাদের আবেদনপত্র জমা দেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৌলানা ওসমান গণির কাছে। তিনি তাঁদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু এসময় আবেদনকারীরা রিসিভ কপি চাইলে দেওয়া যাবে না বলে জানান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

আরও পড়ুন: মুফতি ইয়াহিয়া হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক

তবে আগামী শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে সবপ্রার্থীকে মুঠোফোনে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানালেও আবেদনকারী মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহসহ আরো দুইজন প্রার্থীকে জানানো হয়নি। পরবর্তীতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের জমাকৃত আবেদন ফাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বাছাই কমিটি বাতিল করেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ জানান, আবেদনপত্র দেওয়ার সময় রিসিভ কপি চাইলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওসমান গনি দেননি। আমরা জেনেছি তিনি নিজে প্রার্থী এবং প্রার্থী হয়ে কিভাবে তিনি আবেদনপত্র গ্রহণ করেন তা আর বলেননি। তিনি আরো জানান, এ বিষয়টি বিধি বহির্ভুত। তাই শিক্ষা অধিদপ্তরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বরাবরেও একটা অনুলিপি দিয়েছি।

জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন মাইজভান্ডারী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনপত্রে অনিয়মের বিষয়টি শুনার পর আমি পরিচালনা পরিষদকে বিষয়টি জানিয়েছি। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ কমিটি বিধি মোতাবেক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌলানা ওসমান গণি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে পরিচালনা কমিটি কাকে বাদ দিয়েছেন তা আমি জানি না। আমি তিন মাস আগেই চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়ে প্রার্থী হয়েছি। বিষয়টি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহোদয় জানবেন।

আরও পড়ুন: ‘উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস’, আটক দুই মাদ্রাসাছাত্র এক দিনের রিমান্ডে

অহিদিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ফজল আহমদ জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর ৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ২ জন বাদ পরেন তাদের প্রয়োজনীয় ৩টি সনদ না থাকায়।

তিনি বলেন. দুই প্রার্থীর অভিযোগ জানার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে দফায়-দফায় তদন্ত করা হয়, কিন্তু তাদের অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। সে জন্যই তাদের বাদ দেওয়া হয়।

ইমরান/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!