চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ‘সৈকত বাহাদুর’ নামের পুরুষ হাতিটি মারা গেছে। হাতিটির বয়স হয়েছিল ৩২ বছর।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে পার্কের হাতির গোদা নামক বেষ্টনীর ভেতর হাতিটি মারা যায়। এদিন রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
মো. মাজহারুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সোমবার সারাদিন স্বাভাবিক ছিল হাতি ‘সৈকত বাহাদুর’। বিকেল ৪টার দিকে কলাগাছ ও মিষ্টিকুমড়া খাওয়ার পর হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান হাতিটি মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ‘তাস খেলে’—ঘরে ফিরে হঠাৎ বমি, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল যুবক
পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা. হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইনের বরাত দিয়ে মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আত্রান্ত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি দলের ময়নাতদন্ত পর হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাতিটি লালনপালন করা মাহুত মো. ফারুক হোসেন বলেন, হাতি সৈকত বাহাদুরকে সোমবার বিকেলে চারটি কলাগাছ ও চারটি মিষ্টিকুমড়া খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ার পর পানি পান করে হঠাৎ মাটিতে ঢলে পড়ে। প্রথমে মনে করেছিলাম খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। মিনিট খানেক পর দেখি মাথাও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ভেটেরিনারি চিকিৎসক গিয়ে হাতি ‘সৈকত বাহাদুরের’ মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, পার্কে মোট ছয়টি হাতি রয়েছে। এদের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং চারটি মাদি হাতি।
তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া ‘সৈকত বাহাদুর’ পার্কে জন্ম নেয়নি। তাকে অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। একটি হাতির গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে।