মহাসমাবেশে খিদের জ্বালায় সীতাকুণ্ড-রাউজানের কর্মীরা, কেউই নেই পাশে

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চলছে আওয়ামী লীগের জনসভা। সকাল থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল বিশাল মিছিলের বহর নিয়ে জনসভায় যোগ দেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের সাংসদ ও নেতারা।

এদিকে চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের মিছিলের বহরে আসা কর্মীরা খাবার বিড়ম্বনার অভিযোগ তুলেছেন।

জানা যায়, নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ভোর থেকে রাউজান-নোয়াপাড়া সড়কে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এরপর জনসভাস্থলে যোগ দিতে রওনা দেওয়ার সময় কর্মীদের হাতে দেওয়া হয়েছিল দুপুরের খাবারের প্যাকেট।

ভোরের আলো গড়িয়ে দুপুর হলে ক্ষুধার্ত কর্মীরা খাবারের প্যাকেট খুলেই হতবাক! প্যাকেটে থাকা খাবার থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বেশিরভাগ কর্মীর খাবারই নষ্ট হয়ে গেছে। এসব খাবার তারা রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ক্ষুধায় দুর্বল হয়ে বসে আছেন।

রাউজান থেকে মিছিলের বহরে আসা আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রাজ্জাক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আমরা ভোর থেকেই রাউজানে একসাথে জড়ো হয়েছিলাম। ওখান থেকে গাড়িতে করে জনসভায় আসার সময় আমাদেরকে প্রত্যেককে দুপুরের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখি খাবার থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। তাই ফেলে দিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেক কর্মীর কাছে টাকা নেই, আবার খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না। আমাদের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী। আমরা তাকেসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে কয়েকবার জানিয়েছি, খাবারের সমস্যার কথা। কিন্তু উনারা এখানে আসার পর থেকেই আমাদের আর কোনো কথা শুনছেন না।

এদিকে একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সীতাকুণ্ড থেকে মিছিলের বহরে আসা সাধারণ কর্মীরা। সীতাকুণ্ড, আকবরশাহ, পাহাড়তলী আংশিক নিয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের সঙ্গে আসা লোকজন খাবার পেলেও তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। কর্মীদের বেশিরভাগ খেটে খাওয়া মানুষ হওয়ায় আর্থিক সংকটে না খেয়ে সমাবেশ স্থলের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে তাদের।

সিআরবি এলাকায় হতাশ হয়ে বসে থাকা সীতাকুণ্ডের নুরুল ইসলাম বলেন, ভোর ৬টায় ট্রাকে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছিলাম। গাড়িতে উঠার সময় খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। তবে এসব খাবার খেতে গিয়ে বিপাকে পড়েছি। রাতের রান্না করা খাবার হওয়ায় সব খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। বেশিরভাগ মানুষ না খেয়ে আছে। টাকা না থাকায় খিদে নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হলেই গাড়ি ছাড়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এলাকার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমাবেশে এসেছি। খাবার খেতে না পারায় তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। তিনি পরে যোগাযোগ করবেন জানিয়ে ফোন কেটে দিয়েছেন।

জেএন/আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm