চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া নয়াহাট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ফজিলাতুন্নেছা (২৮) নামে এক গৃহবধূ। মোটরসাইকেলে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বান্দরবানে যাচ্ছিলেন তিনি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল নয়টার দিকে মোটরসাইকেল চালক মো. আলিমুজ্জামান সুজন (৩১), তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা এবং ৬ বছর বয়সের ছেলে হুমায়ের হাম্মাদকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাওয়ার পথেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া নয়াহাট এলাকায় পৌঁছালে তাদের সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ ব্রেক করে। এতে তিনি মোটরসাইকেল ব্রেক করেন। এ সময় পেছনে বসা ফজিলাতুন্নেছা সিট থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। ঠিক সেই মুহূর্তে পেছন দিক থেকে আসা একটি লন্ডন এক্সপ্রেক্স পরিবহনের বাস তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন ফজিলাতুন্নেছা। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী আলিমুজ্জামান ও ছেলে হাম্মাদও দুর্ঘটনায় আহত হন। তারা বর্তমানে পটিয়া হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক বাসটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস মহাসড়কে চাপা দিলেই ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী নারী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক চন্দ্রিকা দাশ বলেন, গুরুতর মাথায় আঘাত নিয়ে রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। মাথার পেছনের অংশ সম্পূর্ণ পিষ্ট হওয়ায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।
নিহত ফজিলাতুন্নেছার বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায়। তার স্বামী মো. আলিমুজ্জামান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে নিহতের লাশ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে।
কেএ/আলোকিত চট্টগ্রাম
