করোনা মহামারীর মধ্যেই চট্টগ্রামে হানা দিয়েছে ডেঙ্গু । ইতোমধ্যে নগরে শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় নগরে চিহ্নিত হয়েছে ডেঙ্গুর ১৫ স্পট। এসব স্পটে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা।এ অবস্থায় এবার জোরেশোরে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। মশা মারতে ৩০ দিন মাঠ কাঁপাবে চসিকের একাধিক টিম।
ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের হাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় ৩০ দিনের এই বিশেষ ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’শুরু করেছে চসিক। বুধবার (৪ আগস্ট) নগরের বিপ্লব উদ্যান এলাকায় এই মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন চারটি ওয়ার্ডে ১৬৬ জন শ্রমিক মশার লার্ভা ধ্বংসকারী কীটনাশক ‘লার্ভিসাইড’ ও ‘অ্যাডাল্টিসাইড’ ছিটাবেন।
উদ্বোধনকালে নগরপিতা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছে। সিটি করপোরেশন আগে থেকেই সতর্ক ছিল এবং মশক নিধনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভিযান চলমান আছে। আজ থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিধনে ৩০ দিনের বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৫৭টি স্পটে ডেঙ্গুর লার্ভা পেয়েছেন এবং ১৫টি স্থানকে ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেছেন। এতে আমাদের একটি সুবিধা হয়েছে। কারণ যেসব স্থানে লার্ভা বেশি, সেসব স্থানগুলোতে ভালোভাবে ওষুধ ছিটিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাবো।
মেয়র আরও বলেন, ক্রাশ প্রোগ্রামে দৈনিক ১৬৬ জন মশক নিধনকর্মী কাজ করবেন। একদিনে চারটি ওয়ার্ডে মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবেন তারা। এভাবে চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলবে। পাশাপাশি আমরা এক হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করবে। কারো বিল্ডিংয়ে জমানো পানি থাকলে এই স্বেচ্ছাসেবকরাই পরিষ্কার করে দিবে। এছাড়া আমাদের লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং চলছে। এরপরও কারো নির্মাণাধীন বিল্ডিং, ছাদে, ছাদবাগানে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন মশা নিধনে ফগার মেশিন তেমন কার্যকর নয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ফগার মেশিন কাজ করছে না বিষয়টি এমন নয়। তারা বলেছেন, মশা নিধনে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হতো সেগুলোর কার্যকারিতা কম। চবির গবেষক দলকে আমরা কিছু ওষুধ দিয়েছিলাম। তার মধ্যে কিছু ওষুধ ভালো কাজ করছে। সেসব ওষুধ দিয়ে ৮৫ ভাগ মশা মারা যাবে। এছাড়া দ্রুত স্প্রে করার জন্য ২০টি ‘টু স্ট্রোক ইঞ্জিন’ চালিত মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়োজনে মেশিনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
আরবি