৩ স্পটে বর্ণিল আয়োজন—মধুর বসন্তে মাতোয়ারা চট্টগ্রাম

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ টাকুর লিখেছেন- ‘মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে/মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,/লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে।’

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রভাতের নবীন ঊষা বাংলার প্রকৃতিতে নিয়ে এসেছে ঋতুরাজের দোলা। খুলে গেছে দখিনা দুয়ার। মানব-মানবীর হৃদয়ের বেদি আর প্রজাপতির রঙিন পাখা, মৌমাছির গুনগুনানি, বৃক্ষ-লতা-গুল্ম, ফুলে-ফলে, পত্র-পল্লবে, শাখায় শাখায়, ঘাসে ঘাসে, নদীর কিনারে, কুঞ্জ-বীথিকা আর অরণ্য-পর্বতে নবযৌবনের বান ডেকেছে।

বসন্ত উৎসবে শিশুদের বর্ণিল সাজ। ছবি : বাচ্চু বড়ুয়া

বসন্ত উদযাপন বসন্তকে স্বাগত জানাতে ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি মঞ্চে বসন্ত উৎসবের বর্ণিল আয়োজন চলছে। পাহাড়তলী শেখ রাসেল মাঠে বসন্ত উৎসব উদযাপন করছে আবৃত্তি সংগঠন বোধন, নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে করছে বোধন-এর আরেকটি পক্ষ এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে করছে আবৃত্তি সংগঠন প্রমা।

আরও পড়ুন: আজ শুধু জ্ঞানের আরাধনা

সকাল থেকে এসব স্থানে জড়ো হতে থাকেন প্রকৃতিপ্রেমী শত শত মানুষ। মেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি, মাথায় গাঁধা ফুলের খোপা, ছেলেরা গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। ছোটরাও বাদ যায় না। তারাও নানা রঙে রঙিন হয়ে এসেছে বসন্ত উৎসবে।

হাসি আনন্দে উদযাপন বসন্ত উৎসব। ছবি : বাচ্চু বড়ুয়া

পাহাড়তলী শেখ রাসেল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চে সকাল থেকে নাচ-গানে মাতিয়ে তুলেছেন শিল্পীরা। দর্শকরাও পরম আনন্দে উপভোগ করছেন বাংলার প্রেমময় এ ঋতুকে। বসন্ত উৎসবের ফাঁকে ফাঁকে ভলোবাসা দিবসও উদযাপন করছেন কেউ কেউ। এসেছেনে প্রিয় সঙ্গীর হাতে হাত রেখে। হাসি-আড্ডায় কাটাচ্ছেন রঙিন সময়।

নাচে গানে মাতোয়ারা সবাই। ছবি: বাচ্চু বড়ুয়া

প্রকৃতির এই রূপতরঙ্গে দুলে ওঠে কবিগুরু গেয়ে ওঠেন- ‘ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে।’ গেয়ে ওঠেন- ‘ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান/ তোমার, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান/ আমার আপনহারা প্রাণ/আমার বাঁধনছেঁড়া প্রাণ’। আজও সেই সুর ধ্বনিত হচ্ছে হৃদয় থেকে হৃদয়ে।

 কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!