ভয় বাড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় গরুর হাট, রাজস্বেও নজরদারি নেই

নির্দেশনাও মানছে না কেউ

চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে করোনা। এ অবস্থায় ভয় বাড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় গরুর হাট। এসব হাটে নেই নজরদারি। আসছে না কোনো রাজস্ব।

এবার নগরে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর অস্থায়ী হাট বসবে শুধু তিন জায়গায়।তবে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ১১টি স্থানে পশুর হাট ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এসব হাট বসাতে জেলা প্রশাসনের অনুমতিও চেয়েছিল চসিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ীসহ মোট ৬টি হাট বসানোর অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

অনুমতি পাওয়া নগরের অস্থায়ী তিন হাট হলো—কর্ণফুলী পশুর হাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট এবং পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ।

এছাড়া বর্তমানে নগরে স্থায়ী তিনটি পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে— সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার পশুর হাট ।

প্রসঙ্গত, গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসেছিল নগরে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবার যে চার জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি পায়নি সেগুলো হলো— স্টিল মিল পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, আমান বাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ি রেলক্রসিং সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং কালুরঘাট ব্রিজের উত্তর পাশের খালি জায়গা।

এদিকে নগরে অনুমোদিত পশুর হাটের বাইরেও বিভিন্ন অলি-গলিতে ছোট পরিসরে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে চলছে বেচাকেনা। সঠিক নজরদারির অভাবে এসব অবৈধ হাট থেকে সরকার পাচ্ছে না কোনো রাজস্ব।

তবে সিটি করপোরেশন বলছে, অনুমোদন ছাড়া যেকোনো জায়গায় হাট বসানো অবৈধ। নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের বিভিন্ন স্থানের অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছ উত্তরবঙ্গসহ নানা এলাকা থেকে আসছে গরু। একক কিংবা কয়েকজন মিলে গরু কিনে গলির মোড় কিংবা আশপাশের খালি জায়গায় বসিয়েছে ‘মিনি হাট’।

নগরের মুরাদপুর, বহাদ্দারহাট, দেওয়ানহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, পাহাড়তলী, একে খানসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে জমে উঠেছে এ হাট। গরুর বাজারে হাসিল বা সরকারি রাজস্ব দিতে হলেও এসব ‘মিনি হাটে’ নেই কোনো হাসিলের ব্যবস্থা। মূলত প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন অনুমোদিত বাজারগুলো আমরা তদারকির পাশাপাশি রাজস্ব আদায় করে থাকি। অনুমোদন ছাড়া যেকোনো জায়গায় হাট বসানো অবৈধ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দেওয়া হবে।’

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!