ভোগান্তির দিন, উৎকণ্ঠার রাত

টানা বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দিনভর ভোগান্তির পর নেমেছে রাত। এখনও অনেকের বাসা-বাড়িতে হাঁটুপানি। রাস্তায় কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমরপানি। আকাশে মেঘ, থামেনি বৃষ্টি। সবমিলিয়ে নগরের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

রোববার (৬ জুন) সকাল থেকেই নগরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও মুষলধারে, কখনও টিপ টিপ। বৃষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নগরে বাড়ছে জলাবদ্ধতাও। নিম্নাঞ্চল থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে।

এদিকে পাহাড়ধসের শঙ্কায় রোববার দুপুরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও নগরের লালখানবাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।

এদিকে ‘পানিবন্দী’ নগরে দিনভর ছোটখাটো বেশকিছু দুর্ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

এদিন গত কিছুদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ডের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে আগামীকাল (সোমবার) পর্যন্ত নগরে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!