নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং অনুমোদনহীন রঙ ব্যবহারসহ নানা অপরাধে নগরের ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় নগরের প্রবর্তক মোড়, বিপ্লব উদ্যান, চিটাগং শপিং ও কাজীর দেউড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে দূষণ—জরিমানা বাড়ল, শাস্তিও
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মু. হাসানুজ্জামান নেতৃত্ব দেন।
সহকারী পরিচালক মু. হাসানুজ্জামান জানান, পাঁচলাইশ থানা এলাকার বিপ্লব উদ্যানের ফুড হাটকে পচা ও বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফুড ম্যাক্সকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে খাবার বিক্রি করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। একই প্রতিষ্ঠানকে ফ্রিজে বাসি খাবার সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিল্ক এন্ড টি রেস্টুরেন্টকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যোপকরণ ব্যবহার ও খাদ্যে অননুমোদিত রঙ ব্যবহার করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: আবারও জরিমানার মুখে মেজ্জান হাইলে আইয়ুন, এবার মুরাদপুরে
বায়েজিদ বোস্তামি রোডের আলী স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রবর্তক মোড়ের ক্যাফে সুফিয়া রেস্টুরেন্টকে রান্না করা খাবার অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নাসিরাবাদ এলাকার মা জেনারেল স্টোরকে নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিঙ্ক বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ফয়সাল মেডিকোকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
আরবি