চট্টগ্রামে ৫ হাজার ভুয়া জন্মনিবন্ধন, চক্রের খোঁজ পেল কাউন্টার টেরোরিজম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণা করে নকল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মো. জহির আলম (১৬), মোস্তাকিম (২২), দেলোয়ার হোসাইন সাইমন (২৩) ও মো. আব্দুর রহমান প্রকাশ আরিফ (৩৫)।

জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি ৩৮ নং বন্দর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ৪০টি, ৯ জানুয়ারি ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ১০টি এবং ২১ জানুয়ারি ৪০ নং পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সার্ভারে ৮৪টি ভুয়া জন্মনিবন্ধন পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ ছায়া অনুসন্ধান শুরু করে।

অনুসন্ধানে জালিয়াতি করে জন্মনিবন্ধন তৈরি করা একাধিক চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হ্যাকারের কবলে চট্টগ্রামের জন্মনিবন্ধন আইডি, ১৫ নিবন্ধন একলাফেই ৯৯—তে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, সারাদেশ এমন আরো অনেক চক্র আছে যারা এ জালিয়াতিতে যুক্ত। প্রতিটি চক্রে ৩০ থেকে শতাধিক সদস্য রয়েছে। ৫শ থেকে ৮শ টাকায় তারা ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে দেয়। গ্রেপ্তার চক্রটি এ পর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করেছে।

মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক নিবন্ধন করে। পরে এসব তথ্য এক হ্যাকারকে দেয়। ওই হ্যাকার অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভারে ঢুকে জাল জন্ম সনদ তৈরি করে। এরপর তৈরি করা জাল জন্মনিবন্ধন সনদ ওই হ্যাকার চক্রের সদস্যদের পাঠিয়ে দেয়।

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়েছিল, নাকি অন্য কেউ তাদেরকে পাসওয়ার্ড দিয়েছিল তা আমরা এখনো নিরূপণ করতে পারিনি। বিষয়টি তদন্তাধীন। বিষয়টি বাইরে থেকে করছিল। এ বিষয়ে ভেতর থেকে কেউ সহায়তা করেছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

তিনি বলেন, নগরের খুলশী থানায় ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান ও আইনি কার্যক্রম চলমান আছে।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm