ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল—১৪ দিনের ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

চট্টগ্রামে ১৪ দিনের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৫ জুন) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জেলা পর্যায়ের ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ প্রতিনিধি ডা. উবাসুই , জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

করোনার কারণে এবারের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে ১৪ দিন। প্রতি বছর একদিনে এ কর্মসূচি শেষ করা হলেও করোনার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে সময়। শুক্রবার ব্যতীত বাকি ছয় দিন এই কার্যক্রম চলবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৮ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা.সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, অন্যান্য বছর একদিনে শেষ করা হলেও এবার করোনার জন্য আমরা ১৪ দিন ধরে কর্মসূচি চালাবো, করোনার বিস্তার রোধে এই পদক্ষেপ।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, এবার চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১৫টি স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫০৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। ৫ জুন থেকে ১৯জুন পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত বাকি ছয় দিন এই কার্যক্রম চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। কার্যক্রম সফল করতে উপজেলাগুলোতে জনস্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ১১ হাজার ৮৭৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে।

তবে যে সকল স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে ইপিআই কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেসকল কেন্দ্রে সপ্তাহে ৬ দিনের পরিবর্তে ৪ দিন ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানান জেলার এই চিকিৎসকপ্রধান।

গতবছরের সমীক্ষায় নীল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার ছিলো ৯৯ শতাংশ এবং লাল রঙের ৯৮.৯৮ শতাংশ।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!