হাটহাজারীর মির্জাপুরের চাঞ্চল্যকর মো. হোসেন ওরফে বাচা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সুমনকে আটক করেছে র্যাব।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনী জেলার মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
আটক সুমন নিহত মো. হোসেন ওরফে বাচার আপন চাচাত ভাই।
জানা যায়, পারিবারিক কারণে সুমনের মাকে একবার মারধর করে নিহত মো. হোসেন ওরফে বাচা। এ নিয়ে বাচার ওপর ক্ষোভ জমে সুমনের। এরপর বাচার সৎ বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন সুমন। ঘটনার পর সুমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বাচা ও তার ভাই কালু। সেই মামলায় সুমন ১ বছর কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এছাড়া তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ ছিল। মূলত এসব ঘটনার জের ধরে বাচাকে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন।
আরও পড়ুন : ছাত্রলীগ কর্মীকে খুন করে যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে ৬ জনকে
পরিকল্পনা ও খুন
মো.হোসেন ওরফে বাচাকে হত্যা করার জন্য সুমন প্রথমে সোহেল বাহিনীকে ভাড়া করেন। তারপর আসামিরা হাটহাজারী থানার চারিয়াতে একত্রিত হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা ৮টি চাপাতিকে তিন ভাগে ভাগ করে। তিনটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। প্রথম অটোরিকশায় সুমন বাহিনীর সুমন, মনসুর, সোহেল, হামিদ বাইল্যা, ইমন উঠেন।
দ্বিতীয় অটোরিকশায় উঠেন কাইয়ুম, হাসেম, রাশেদ, শাহিদ আলা উদ্দিন। তৃতীয় অটোরিকশায় উঠেন অজ্ঞাত ৪-৫ জন। এরপর সবাই ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। একপর্যায়ে সুমন বাচার হাতের কব্জি কেটে ফেলেন। বাঁচাকে বাঁচাতে তার ভাই মোমেন এলাহী ওরফে কালু আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলে বাচার মৃত্যু হলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কালু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নিয়াজ মো. চপল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, হাটহাজারীর চাঞ্চল্যকর বাঁচা হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুমনকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর আসামি প্রথমে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে কুমিল্লায় আত্মগোপন করে চট্টগ্রাম ফেরার পথে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা ন্বীকার করেন সুমন। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সুমনকে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।