চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ থেমে গেছে গাড়ির চাকা। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে না গাড়ি। কারণ সড়ক অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভ ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ও ইজিবাইক চালকদের। ৩ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ছাড়বে না রাজপথ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১২টা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আগ্রাবাদ ট্রাফিক অফিসের সামনে অবস্থান ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ও ইজিবাইক চালকদের। ৩ দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় ব্যস্ত এ সড়কে যান চলাচল।
রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে চলছে এ আন্দোলন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চালকরা ছাড়বে না রাজপথ।
মূলত ৩ দাবিকে কেন্দ্র করেই ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ও ইজিবাইক চালকদের এ আন্দোলন। তাদের প্রথম দাবি, চট্টগ্রাম নগরে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য নির্ধারিত ৩ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা কমানো।
দ্বিতীয় দাবির মধ্যে রয়েছে, জব্দ করা রিকশা ও ইজিবাইক ১০ দিন হেফাজতে রাখার বিধান বাতিল।
তৃতীয় দাবি হলো, বিআরটিএ অনুমোদিত লাইসেন্স, নীতিমালা, রুট পারমিট ও সার্ভিস লেন চালু করা।
ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ও ইজিবাইক চালকদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পশ্চিম ট্রাফিক জোনের উপকমিশনার নিস্কৃতি চাকমা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে আসে। পুলিশ এককভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমরা আইন মেনে কাগজপত্র যাচাই করেই কাজ করছি। চালকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যাতে সড়ক স্বাভাবিক করা যায়।
এদিকে আন্দোলনের কারণে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজপথে তৎপর পুলিশ।
জেজে/আলোকিত চট্টগ্রাম