এমপি সনির স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে পরোয়ানা—ব্যাংকের সাড়ে ১৫ কোটি টাকার হদিস নেই

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনির স্বামী মো. পারভেজ আলম ও শ্বশুর এমএস আলম ওরফে শাহ আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের সাড়ে ১৫ কোটি টাকা লোপাটের অপরাধে বৃহস্পতিবার (১০জুন) অর্থঋণ আদালতের ম্যাজিস্টেট মুজাজিদুর রহমান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় থানাকে আসামিদের আটক করে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দেন আদালত।

আট ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা লোপাটের অপরাধে সাংসদ সনির শ্বশুর শাহ আলমের ওপর রয়েছে ৫৪টি মামলা। এরমধ্যে ৬টি মামলায় তাঁর ৬ বছরের সাজা হয়েছে।

জানা গেছে, মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজের নাম দেখিয়ে ওয়ান ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ঋণ নেন পারভেজ ও শাহ আলম। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক তাদের নোটিশ দিলেও তারা আমলে নেননি। ২০১১ সালের পর থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের টাকা পেতে মামলা করতে শুরু করে এমএস আলমের বিরুদ্ধে। ৭টি অর্থঋণ মামলা হয়, যার মধ্যে চারটির রায় হয়ে গেছে। বাকিগুলো এনআই অ্যাক্টের মামলা এবং এখানে ৬ মামলায় তাঁর ৬ বছরের সাজাও হয়েছে।

এমএস আলমের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নগরের সদরঘাটে মেসার্স আলম অ্যান্ড কোম্পানি। অভিযোগ রয়েছে, ব্যবসায়ী হিসেবে তেমন সুনাম না থাকলেও তিনি বছরের পর বছর বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়েছেন ব্যাংক থেকে। এজন্য ব্যবহার করেছেন রাজনৈতিক প্রভাব। সেই টাকায় জমির ব্যবসা করে নিজের আখের গোছালেও আটটি ব্যাংকের খাতায় তাঁর নামে রয়েছে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ।

এমএস আলমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখাশোনা করেন আরেক মামলার আসামি তাঁর বড় ছেলে পারভেজ আলম হীরা। পারভেজের স্ত্রী হলেন সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

চট্টগ্রামভিত্তিক মাশরিফা ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তাঁদের। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে এমএস আলমের নাম। এছাড়া পারভেজ আলম ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডিরেক্টর হিসেবে রয়েছেন তাঁর কন্যা ফারজানা আলম এবং দুই ছেলে ফরহাদ আলম ও ফয়সাল আলম। এদের মধ্যে ফারজানা আলম হলেন সাবেক মেয়র মনজুর আলমের পুত্রবধূ।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!