বৌদ্ধ পূর্ণিমায় সাম্য-সম্প্রীতির আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সকলকে পবিত্র বৌদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

বুধবার (২৬ মে) ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মিলিত প্রতীকী শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মহাথেরো আশিনো দীনরক্ষিত।

অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই বাংলাদেশের অভ্যুদয়। উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ যাতে আঘাত না হানে ও বিশ্ব যাতে করোনামুক্ত হয় সেজন্য পবিত্র এইদিনে সকলকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া। সেজন্য আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বর্ণিত আছে।  ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। যে ফিলিস্তিনকে সব মুসলিম দেশ সমর্থন দেয়, সেই ফিলিস্তিনেও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি রয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। তবে বাংলাদেশে এমন একটি পক্ষ আছে যারা ধর্মীয় পরিচয়কেই আগে রাখে। তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য সেখানেই। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যারা ছড়াচ্ছে তাদের দমনে সরকার সবসময় বদ্ধপরিকর। আমরা যদি সবাই ধর্মের মর্মবাণী বুকে ধারণ করে অনুশীলন করি, তাহলে পৃথিবীতে এই হানাহানি-বিভেদ থাকবে না।

বুদ্ধ পূর্ণিমার এইদিনে সকলকে নিজ নিজ ধর্মের মূলমর্ম বুকে ধারণ করে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান ড. হাছান মাহমুদ।

সভাশেষে তথ্যমন্ত্রী সভায় আগতদের মাঝে উপহারসামগ্রী তুলে দেন ও বুদ্ধ পূর্ণিমা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!