লোহাগাড়ায় বৃদ্ধ কৃষক খুনের নেপথ্যে ৫০ হাজার টাকা

লোহাগাড়ায় বৃদ্ধ কৃষক আহম্মেদ কবিরকে (৭৫) খুনের ঘটনায় মো. আমিন (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উখিয়া থানার কুতুপালং মধুরছাড় ক্যাম্প স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুরোহিঙ্গা যুবক পলাতক আছেন। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যবর্তী সময়ে খুন হন কৃষক আহম্মেদ কবির। এ ঘটনার পর একইদিন লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন নিহতের পরিবার। এরপর মামলার সূত্রে ধরে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আমিন কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ৪ নম্বর স্টেশন সি-৩ ব্লকের আজিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত তার অপর সহযোগীরাও রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ৩০ বছরেও বিচার হয়নি ২ খুনের, ২০ বছরেও জামিন মেলেনি শিবির ক্যাডার নাছিরের

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কৃষক আহম্মেদ কবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের পর লাশ জমির বাইয়ারপাড়ার ফরিরের বাপের খিল দুর্গম পাহাড়ি বাগানে ফেলে যায়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আমিন জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ঘটনার আগে আহম্মেদ কবিরের বাড়িতে বদলা হিসেবে কাজ করতো বলে জানান। মজুরি কম দেওয়া এবং ঘটনার দিন আহম্মেদ কবিরের কাছে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা থাকায় ক্ষোভ ও লোভে অপর এক রোহিঙ্গা সহযোগীসহ তাকে ধামা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চরম্বা থেকে কক্সবাজার পালিয়ে যায়। তার দেওয়া তথ্যে খুনে ব্যবহৃত ধামাটি বাইয়ারপাড়ার ফরিরের বাপের খিল দুর্গম পাহাড়ি গাছ বাগান সংলগ্ন খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ওসি আতিকুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ১১ দিন আগে উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের বাইয়ারপড়া এলাকার কৃষক আহম্মেদ কবিরকে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ তার ধানি জমির পাশের ফকিরের বাপের খিল দুর্গম পাহাড়ি বাগানে ফেলে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় তিন রোহিঙ্গা নাগরিক জড়িত বলে জানতে পারি।

ওসি আরও বলেন, রোববার সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে জড়িত আমিন নামের এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (সোমবার) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িত অপর দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এসএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm