চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না করোনার বিস্তার। এ অবস্থায় নতুন ‘হুমকি’ হয়ে উঠেছে নগরের ৬ কোরবানির পশুর বাজার। এসব কোরবানির হাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে করোনার সংক্রমণ ‘ভয়াবহ’ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই নগরে বসছে ৬ কোরবানির পশুর হাট ।
চসিক সূত্রে জানা যায়, এবার তিনটি স্থায়ী পশুর হাট বসবে নগরে। এগুলো হলো— সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার। এছাড়া বসবে তিনটি অস্থায়ী হাটও। সেগুলো হলো— কর্ণফুলী পশুর হাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট ও পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ।
এসব হাট ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে শত শত গরু বাজারে ঢুকছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনা। হাটে বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমও।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা শঙ্কা করছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পশুর হাটগুলো করোনার হটস্পটে পরিণত হতে পারে। তাই কোরবানির হাটে কঠোর মনিটরিং করতে হবে। তা না হলে ঈদের পর করোনার সংক্রমণ ‘ভয়াবহ’ হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, নগরের ছয় কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা যাই করি না কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে। মানলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। না মানলে যে সংক্রমণ এখন চলমান আছে সামনে তা বেড়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তখন স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর চাপ বাড়বে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পশুর হাটগুলো রাখা হবে কঠোর নজরের আওতায়। অমান্যকারীদের দেওয়া হবে শাস্তি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। পশুর হাটগুলোতে রাখা হবে কঠোর নজর। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের আনা হবে শাস্তির আওতায়।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছেন ১০ করোনা রোগী। চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০০ করোনা আক্রান্ত রোগীর। সবমিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৭ জন।
আরবি