বিরল রঙের বাঘের ঘরে ‘নতুন অতিথি’—চিড়িয়াখানায় খুশি

২৬ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাজুড়ে বইছিল আনন্দের বন্যা। তবে সেই আনন্দের খবরটা ‘বন্দি’ ছিল চিড়িয়াখানার চার দেয়ালেই।

অবশেষে প্রকাশ্যে আনা হলো খবরটি। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ ‘শুভ্রা’ জন্ম দিয়েছে নতুন শাবক!

বাঘ
ব্যাঘ্রশাবকের নাম এখনও ঠিক করা হয়নি

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে আনা হলো ব্যাঘ্রশাবকটিকে। সাদা বাঘ থেকে জন্ম হলেও শাবকটির রঙ কিন্তু সাদা হয়নি। এর রঙে হয়েছে হলুদ-কালো ডোরাকাটা।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিন চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেনের কোলে বসে দুধ খাচ্ছে ব্যাঘ্রশাবকটি। এরপর এটিকে কোল থেকে নামালেই ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে থাকে শাবকটি। মুখ হা করে হুঙ্কার দেওয়ার চেষ্টাও করে!

বাঘ
হা করে হুঙ্কার করে দেওয়ার চেষ্টা ব্যাঘ্রশাবকের!

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা রাজ ও পরি দম্পতির মেয়ে সাদা বাঘ শুভ্রাকে। পাঁচ বছরের মাথায় সেই শুভ্রা উপহার দিল নতুন অতিথি।

এদিকে নতুন এই ব্যাঘ্রশাবকটির নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। বর্তমানে এটি দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন স্বয়ং চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন ।

বাঘ
নতুন অতিথি নিয়ে আসা সাদা বাঘ শুভ্রা

ডা. শাহাদাত হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চিড়িয়াখানার একমাত্র সাদা বাঘ শুভ্রার ঘরে নতুন অতিথি এসেছে। এ নিয়ে এ পরিবারে সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১০।

তিনি বলেন, ব্যাঘ্রশাবকটিকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা রাখা হয়েছে। কারণ মায়ের আচরণ অনেক সময় হিংস্র হয়। শাবকটিকে আলাদাভাবে ফিল্টারে করে তিন ঘণ্টা পরপর ছাগলের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।

বাঘ
৩ ঘণ্টা পরপর ছাগলের দুধ পান করানো হচ্ছে ব্যাঘ্রশাবকটিকে

নতুন ব্যাঘ্রশাবকটির ওজন এখন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, জন্মের ১৪-১৫ দিন এটি দুর্বল ছিল। ছয় মাস এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। এরপর এটিকে খাঁচায় দেওয়া হবে।

জো বাইডেনের লালন-পালনের অভিজ্ঞতা এখন বেশ কাজে আসছে বলেও মন্তব্য করেন ডা. শাহাদাত।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!