বিধিনিষেধ—হোটেল খোলা রাখতে হবে, টিকা নিলেই রেস্টুরেন্টে বসতে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন

দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে ‘বিধিনিষেধ’ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। বিধিনিষেধের পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ভয় ঢুকে গেছে চট্টগ্রামের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মনে। কারণ এর সঙ্গে যে জড়িত তিন লাখ মানুষের জীবিকা!

এমনিতেই লকডাউনে ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চট্টগ্রামের হোটেল ব্যবসায়ীদের। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক-কর্মচারীদের। নতুন করে আবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা এলে এ সেক্টর ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো মূল্যে হোটেল চালু রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রামের হোটেল মালিকরা। তারা বলছেন, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলেও তারা হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতে চান। প্রয়োজনে দূরত্ব বজায় রেখে দুই সিটে একজন গ্রাহককে বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবু যেন ওমিক্রনের জের ধরে এই খাতটিকে ফের বিপদে ফেলা না হয়। এমন হলে অসংখ্য হোটেল ব্যবসায়ীকে পথে বসতে হবে।

আরও পড়ুন: করোনা : আসছে ৩ বিধিনিষেধ

এক বিবৃতিতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলেন, আয়কর ও মুসক (ভ্যাট) দিয়ে জাতীয় রাজস্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিগত দিনের করোনায় এ ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অথচ নিয়মিত শ্রমিকদের বেতন, হোটেল ভাড়া, ট্যাক্স, মূসকসহ সব ধরনের কর পরিশোধ করতে হয়েছে। তাই আবার যদি হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করা হয়, তাহলে এ খাতটি ধ্বংসের কিনারায় চলে যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হাজার হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেখানে কাজ করেন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক।

এদিকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কেউ কেউ করোনার টিকা দেখিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে হবে বলে মত দিয়েছেন। এর সঙ্গে ভিন্নমত হোটেল ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, বাস্তব অবস্থা হচ্ছে অনেক মানুষ এখনও টিকা নিতে পারেননি। আবার অনেকে টিকা দিলেও সনদ বা কার্ড পাননি। এখন রেস্টুরেন্টের কর্মীরা যদি এমন কারও কাছে টিকার সনদ চান, তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কমার লক্ষণ নেই, বিধিনিষেধ মানছেই না কেউ

আবার সচেতন মহলের বড় একটি অংশও টিকা নেওয়া ছাড়া রেস্টুরেন্টে যাওয়ার বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে একমত নন। তাদের প্রশ্ন, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা কি আর কখনো করোনায় আক্রান্ত হবেন না? নাকি টিকা দেওয়ার কারণে তারা করোনার ভাইরাস বহন করার সক্ষমতা চলে গেছে?

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!