ঘন ঘন লোডশেডিং, আর দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দাদের। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলায় চরমভাবে অতিষ্ঠ তাদের জনজীবন।
জানা যায়, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ভেলকি সহনীয় পর্যায়ে হলেও সন্ধ্যা ও রাতের বেলা বেড়ে চরমে পৌঁছে। শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং, চলে রাতভর।
ভুক্তভোগীরা জানান, অতিরিক্ত লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ, সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রাহকেরা ফোনে ও সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও মিলছে না সমাধান। দিন-রাত সমানে লোডশেডিং থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ বন্ধ টিসিবির পণ্য বেচা, কপাল পুড়ছে গরিব—মধ্যবিত্তের
পৌরসভা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ হাটহাজারীর চৌধুরীহাট, বড় দিঘীর পাড়, লালিয়ারহাট, আমান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে।
লালিয়ার হাটের বাসিন্দা সৈয়দ মো. বয়ান বলেন, তীব্র গরমে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া অসহনীয়। এতে বাচ্চাদের পড়ালেখাসহ নানা সমস্যা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়িত করলেও হাটহাজারীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাটহাজারী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মো. নেওয়াজ উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এটা লোডশেডিং না। অনেক বড় লাইন, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করবে। লাইনের মধ্যে গাছপালা পড়লেও বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করতে পারে।