চট্টগ্রামে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। নতুন করে বাড়ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ। একইসঙ্গে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপও বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
এদিকে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ জন। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩১১ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। আর ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ১৪৩ জন নগরের এবং ১৬৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। তবে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু হলেও চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত কারো এখনও মৃত্যু হয়নি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন।
আরও পড়ুন : ‘করোনা’ দুবছরে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার, চট্টগ্রামেও টানা দুদিন
শনিবার (১৪ জুন) সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত করোনা প্রতিবেদনের তথ্যে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনার ২৩ নমুনা পরীক্ষায় কেউ শনাক্ত হয়নি। তবে এভারকেয়ার হাসপাতার একটি নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত ডেঙ্গু প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১১ জনের মধ্যে ১৪ জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ জন। মে মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১১৬ জন। এছাড়া এপ্রিলে ৩৩ জন, মার্চে ২২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছিল। মোট আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ১৭২ জন, নারী ৯০ জন এবং শিশু ৪৯ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ জন। এর মধ্যে একজন জানুয়ারিতে এবং অন্যজন এপ্রিলে মারা যান।
চলতি জুনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪২ জনের মধ্যে নগরে ১৬ জন এবং উপজেলায় ২৬ জন। তবে এ মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। গেল বছর জুনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১ জন।
আরও পড়ুন : ‘ভয়’ বাড়াচ্ছে করোনা
এদিকে নগরের চেয়ে উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, উপজেলায় আক্রান্ত ১৬৮ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ১০ জন, সাতকানিয়ায় ১৫ জন, বাঁশখালীতে ৫৯ জন, আনোয়ারায় ২ জন, চন্দনাইশে ৪ জন, পটিয়ায় ৮ জন, বোয়ালখালীতে ৫ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, রাউজানে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, হাটহাজারীতে ৩ জন, সীতাকুণ্ডে ৩৩ জন, মিরসরাইয়ে ৬ জন, কর্ণফুলীতে ১ জন এবং সন্দ্বীপ উপজেলায় ৫ জন।
আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম