বাঁশখালীতে নৌকার সমর্থক মো. ইদ্রিস (৩০) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে ১ নম্বর পুকুরিয়া ইউনিয়নের কুমারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ইদ্রিসের পরিবারের অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের কর্মীরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে নির্বাচন : বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন তোফাইল, কাউন্সিলর হলেন যাঁরা
ইদ্রিসের চাচাতো ভাই মো. হোছাইন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিল ইদ্রিস। আজ (সোমবার) দুপুরে ঘরে ভাত খাচ্ছিল সে। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী শাহাজাহান তাকে ঘর থেকে ধরে বাইরে নিয়ে যায়। পরে শাহাজানের সঙ্গে যোগ দেয় জানে আলম, সালাউদ্দিন, মোস্তাকিম, গিয়াসউদ্দিন, বখতেয়ার ও মোজাফফর। তারা আমাকেও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ইদ্রিস বলেন, ‘আজ (সোমবার) দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় ঘর থেকে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এসময় নৌকার প্রার্থী বোরহান উদ্দিন ফোন করার পর থানা থেকে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের লোকজন মোটরসাইকেলে এসে আমার সমর্থক ইদ্রিসকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বিষয়টি জানার পর আমি থানায় ফোন করলে তাকে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোছাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নৌকার সমর্থককে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই। নির্বাচনে টাকা বিলির অভিযোগে ইদ্রিস নামের একজনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরএস/আরবি
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।