বাঁশখালীতে কৃষক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছকে (৪০) প্রকাশ্যে গুলি করা, হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় সাধনপুরের ইউপি চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দীন কামালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৫০-৬০ জনকে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাঁশখালী থানায় এ মামলা হয়। এর আগে ওইদিনের হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মো. ইদ্রিছ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, গত ৯ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় সাধনপুরের চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দীন কামালের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ ও তার বাবা মো. ইদ্রিছের ওপর মিছিল সহকারে ৬০-৭০ জন লোক প্রকাশ্যে গুলি, হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায়। হামলায় গুরুতর আহত কৃষক লীগ নেতা ইলিয়াছ এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : বাঁশখালীতে হামলা-হুমকি, চেয়ারম্যান মুজিবুলকে খুঁজছে পুলিশ
এদিকে হামলার প্রতিবাদে গত ১২ মে (রাত ৮টায় বাণীগ্রাম নতুন বাজারে বাঁশখালী উপজেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা হামলাকারী সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দীন কামালসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একইসঙ্গে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
ইদ্রিছ বলেন, আমিও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত হয়। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় এজাহার দিলে মামলা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, হামলার ঘটনায় সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ১ নম্বর আসামি করে এজাহার দেওয়া হয়। মামলায় আরও ১৮ এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইউবি/আরবি