বর্জ্য সরাতে সাড়ে ৪ হাজার কর্মী মাঠে নামিয়েছে সিটি করপোরেশন

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে এবার বন্দর নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মী মাঠে নামিয়েছে।

বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন সকাল থেকেই এসব কর্মীরা বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত আছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এছাড়া ৩৩০টি গাড়ি রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক বর্জ্য অপসারণে। কাজে নিয়োজিতদের সুরক্ষায় দেওয়া হয়েছে সুরক্ষাসামগ্রী।

চসিক জানায়, সিটি করপোরেশনের দামপাড়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারক করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পশুর বর্জ্য ডাম্পিং পয়েন্টে নিতে জোরেশোরে চলছে কাজ।

দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে চসিকের দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। যার নম্বর ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯।

১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে-আলোকিত চট্টগ্রাম

এদিকে বন্দর নগরে পশু কোরবানির জন্য ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। পাশাপাশি যত্রতত্র পশুর চামড়া না ফেলার নির্দেশনা রয়েছে।

চটগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সাড়ে ৪ হাজার সেবক ও ৩৩০টি গাড়ি, ওয়াকিটকি, কন্টেইনার মুভারসহ যা যা প্রয়োজন সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি শহরকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে। আশাকরি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নগরের সব বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘অতীতে নির্দিষ্ট সময়ে কোরবানী বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সুনাম রয়েছে। সেই সুনাম ধরে রাখার লক্ষ্যে এবারও সেইভাবে কাজ করা হচ্ছে।’

নগরের কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোরুমের ফোন নম্বরে জানানোর আহ্বান এবং বর্জ্যমুক্ত শহর উপহার দিতে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন মেয়র।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!