মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল বন্য হাতিটি—উদ্ধার করল বনকর্মীরা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে একটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে হাতিটিকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালের দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ছড়াখোলা এলাকার একটি গর্ত থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীরা জানান, গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ছড়াখোলা এলাকায় একটি হাতির পাল ধান খেতে আসে। এ সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায় একটি হাতি। পরে ধান ক্ষেতের মালিকরা গোপনে হাতিটি গর্ত করে মাটিতে পুঁতে দেয়। শনিবার হাতির শরীরের একটি অংশ মাটির ফাঁকে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা হারবাং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন।

আরও পড়ুন : এবার বাঁশখালীর ধানক্ষেতে পাওয়া গেল বন্য হাতি

কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জের কর্মকর্তা শাহীন বিপ্লব আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, শনিবার স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি একটি হাতি মারা গেছে। এরপর ঘটনাস্থলে যাই। বনকর্মীদের সহযোগিতায় পুঁতে রাখা হাতিটি উদ্ধার করি। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরেনারি সার্জন এসে হাতির ময়নাতদন্ত করেন। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে বিষয়টি জানা যাবে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হতে পারে। কারণ হাতিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় জিডি করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মৃত হাতিটি পুরুষ প্রজাতির। এর বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ১৮ বছর। ওজন প্রায় ২ টন হবে। ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগে হাতিটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম বনবিট এলাকার হাইথারাঘোনা গ্রামে একটি হাতিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। হাতিটির বয়স আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ বছর। এ ঘটনায়ও থানায় মামলা হয়েছে।

মুকুল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!