মিরসরাইয়ে আগুনে বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় নুরুল কবির (৬২) নামে একজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মিঠানালা গ্রামের আব্দুল লতিফ সারেং বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল আমিন। তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তা দেন।
অগ্নিকাণ্ডে নুরুল কবির, নুরুল ইসলাম, মো. শামীম, দিল মোহাম্মদ, জসিম উদ্দিন, মো. হোসাইন, ইসমাইল ও আব্দুর রহিম ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর মধ্যে নুরুল কবির আগুন লাগার পর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে কিছুই বুঝছি না। আগুনে আমাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, জমির কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, ফায়ার সার্ভিসের গড়িমসির কারণে আমরা আগুন থেকে কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আলা উদ্দিন বলেন, মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একে একে সবার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যথাসময়ে আসেনি। আগুন লাগার প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা আসে। তারা যথাসময়ে আসলে অনেক জিনিসপত্র রক্ষা করা যেত।
এদিকে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনের স্টেশন অফিসার আহম্মেদ হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রাস্তা খারাপ থাকায় আমাদের আসতে একটু সময় লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে অথবা শর্টসার্কিটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এএ/আলোকিত চট্টগ্রাম

