ফাঁসিতে ঝুলানো হবে বোমারু মিজানকে, জাবেদের যাবজ্জীবন

১৬ বছর পর রায়

চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ চেকপোস্টে জঙ্গি বোমা হামলার মামলায় বোমারু মিজানকে মৃত্যুদণ্ড ও জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মিজান পলাতক, জাবেদ ইকবাল কারাগারে আছে। রায় ঘোষণার সময় জাবেদকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

২০০৫ সালে ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী বোমা হামলা করে জঙ্গি দল জেএমবি। ১৬ বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারটায় চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় দেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেদিনই রায় ঘোষণার জন্য ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।

আরও পড়ুন: বোমা মেরে আল জাজিরা-এপি’র কার্যালয় উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল

রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মনোরঞ্জন দাশ জানান, আমরা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালত সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে। এটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাবেদ নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাবেদ ইকবালকে আদালতে হাজির করা হয়। ছবি-বাচ্চু বড়ুয়া

জঙ্গি সংগঠন জেএমবির এই হামলায় সেদিন ২৫ জন আহত হয়েছিল। বোমার বিস্ফোরণে আহত অনেকের হাত, কারও পা কেটে ফেলতে হয়েছে। হামলার পর ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীন। আহত হন কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।

আরও পড়ুন: ‘৩ মৃত্যু’—করোনাকালেই জাপার মহাসচিব বাবলুর পরিবার লণ্ডভণ্ড

জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় গত ৯ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান নামের তিন আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

অপর দুই আসামির মধ্যে মোহাম্মদ প্রকাশ আমান প্রকাশ জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে। অপরজন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান এখনো পলাতক।

২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই তিনজনের একজন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!