সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার হাত থেকে কলেজছাত্রকে বাঁচাতে গিয়ে মো. ছগির (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বড়দারোগারহাট বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কদমতলী ফ্লাইওভারে মুখোমুখি লরি—মোটরসাইকেল, প্রাণ গেল পলিটেকনিক ছাত্রের
নিহত মো. ছগির বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নাটমুড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। বেঁচে যাওয়া কলেজছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রিগান কুমাদানপাড়ার বাসিন্দা। তিনি নিজামপুর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ (বুধবার) বারৈয়ারহাট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী উত্তরা পরিবহনের একটি লোকাল বাস সীতাকুণ্ড বড়দারোগারহাট বাজারে এসে দাঁড়ায়। এসময় বাসযাত্রী মো. ছগির গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পশ্চিম পাশে রাস্তা পারাপারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই মুহূর্তে বাস থেকে নেমে আসেন কলেজছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রিগান। পরে ছগির এবং রিগান দুজন যখন বাসের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তা পারাপারে অপেক্ষায় ছিলেন তখন হঠাৎ পেছন দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যান বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় ছগির দুর্ঘটনার হাত থেকে রিগানকে ধাক্কা দিয়ে রক্ষা করলেও নিজে আর বাঁচতে পারলেন না।
আরও পড়ুন: পূরবী বাসে দুমড়েমুচড়ে গেল অটোরিকশা, মুহূর্তেই প্রাণ গেল ২ জনের
এ বিষয়ে বেঁচে যাওয়া কলেজছাত্র রিগান বলেন, যাত্রী উঠানামার সময় দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিকে প্রথমে একটি কাভার্ডভ্যান এসে ধাক্কা দেয়। এসময় বাসযাত্রী ছগির আমাকে বাঁচাতে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে অপর একটি গাড়ি এসে বাসটিকে আবারও ধাক্কা দিলে গাড়ির চাকা মাথার উপর উঠে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়া এ ঘটনায় আরও ৮-১০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনার পরে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়েছে। তবে গাড়িটি দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের আবেদন করেছেন। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/আরবি