চকরিয়ায় প্যারাবনে কিশোরী গণধর্ষণের নেপথ্যে ৬ যুবক। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবার মামলার এজাহারে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন : সেতু পার হতেই চেপে ধরল মুখ, প্যারাবনে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ
মামলায় আসামি করা ৬ যুবক হলেন— বদরখালী ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার জিয়াবুল হকের ছেলে মো. তাজুম ওরফে তাজুল উদ্দিন (২২), মগনামাপাড়ার আবু ছালেকের ছেলে অমিত হাসান (২৫), গোলাম কাদেরের ছেলে তারেক জিয়া (২১), কলেজপাড়া এলাকার মো. ইছহাকের ছেলে মো. কাজল (২৩) এবং বদরখালীর মো. ছোটন (২৩) ও মো. ফারুক (২৪)।
এদিকে আজ (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়।
জানা যায়, মামলার আগেই আসামিদের মধ্যে তাজুল, অমিত, তারেক ও কাজলকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে মো. বশির (৩৮), মো. শাহজাহান (২৭), মো. সজিব (২৫), মো. ছোটনকে (২৩) আটক করা হয়।
ভিকটিম কিশোরীর বাবা বলেন, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আসামিদের নাম আসতে থাকে। সেখান থেকে চারজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে। আশা করি, বাকি আসামিদেরও আইনে আওতায় নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন : প্যারাবনে কিশোরীকে গণধর্ষণ, পুলিশের জালে ৩
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনার পরপরই মহেশখালী ও বদরখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। পলাতক ছোটন ও ফারুককে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
ওসি বলেন, আজ দুপুর ২টার দিকে আসামিদের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ভিকটিম কিশোরীকেও আদালতে নেওয়া হয়েছে। বিচারক তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
এমকেডি/আরবি