পুলিশ পেল বাসার সানসিট বক্সে, প্রতারক লুকিয়ে ছিল বিদেশ থাকার সাজানো গল্পে

শাহ জামাল, সবাই তাঁকে চিনেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী হিসেবে। কিন্তু ব্যবসায়ীর আড়ালে তিনি একজন বড় প্রতারক। মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাঁর নেশা।

এভাবে অনেক লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এ নিয়ে নগরের কোতোয়ালি ও চকবাজার থানায় তাঁর নামে রয়েছে ১৯ মামলা। কিন্তু প্রতিবার পাওনাদারদের বিদেশে চলে যাওয়ার গল্প শুনিয়ে থাকতেন আত্মগোপনে।

তবে এবার আর নিস্তার পেলেন না পুলিশের হাত থেকে। ‘বিদেশে যাওয়া’ সেই প্রতারক শাহ জামালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে একটি বাসার সানসিট বক্সের ভেতর থেকে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চন্দনপুরায় এক ভবনে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন : পুলিশ যাওয়ার পরপরই হামলা, কিরিচের কোপে তিন নারীসহ রক্তাক্ত ৪

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহ জামালের খাতুনগঞ্জে মেসার্স শাহ জামাল নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সুবাদে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে তিনি কোটি কোটি নিয়েছেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার সময় হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। পাওনাদারদের বিদেশ গেছেন বলে পার পেয়ে যেতেন তিনি। তাঁর এক ছেলে অস্ট্রেলিয়া এবং আরেক ছেলে কানাডা থাকায় পাওনাদার তাঁর বিদেশ যাওয়ার গল্প বিশ্বাস করতেন। কিন্তু তিনি আসলে লুকিয়ে থাকতেন দেশেই।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে শাহ জামাল চট্টগ্রাম নগরেই আছেন। এরপর কোতোয়ালি থানার এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া কখনো সেলসম্যান বা কখনো পান দোকানদার সেজে অভিযান চালান। একপর্যায়ে চন্দনপুরার একটি বাসায় তিনি অবস্থান করছেন জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ জামাল বাসার সানসিট বক্সে লুকিয়ে পড়েন। পরে পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগেও কয়েকবার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন শাহ জামাল।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!