‘বিয়ে—সন্তান’ সবই অস্বীকার পুলিশের এএসআই’র, নালিশ গেল পুলিশ দপ্তরে

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সিএমপির (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) এক এএসআই’র বিরুদ্ধে। অধিকার ফিরে পেতে কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ করেছেন নাসরিন আক্তার হীরা (৪০) নামে এক নারী।

ওই নারী বর্তমানে সরকারের আইন সহায়তা কেন্দ্র লিগ্যাল এইডের সহায়তা নিচ্ছেন। ২ আগস্ট সিএমপি কমিশনার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ জোন) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। একইসঙ্গে সংস্থাটির শীর্ষকর্তা আইজিপি বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন— সিএমপি চকবাজার থানার এএসআই সেলিম সরকার। তিনি নাটোরের প্রাণ কোম্পানি অফিস সংলগ্ন সরকার বাড়ির সুলতান সরকারের ছেলে।

আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা পুলিশের ক্যাশিয়ার’ পরিচয়ে পথে পথে ‘চাঁদাবাজি’

জানা যায়, ২০১৪ সালে পারিবারিক বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেখানে ওই এএসআই’র সঙ্গে পরিচয় হয় নাসরিনের। পরে শুরু হয় মুঠোফোনে কথা। একপর্যায়ে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর উভয়ের সিদ্ধান্তে বিয়ে হয় নগরের একটি মাজারে।

বিয়ের পর ঠিকঠাক চলছিল সংসার। তাদের সংসারে ইয়াসিন ইসলাম নামে চার বছরের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ বাসায় যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেন সেলিম। এরপর নিজের স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) মাজারে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর বারবার রেজিস্ট্রি করতে বললেও এড়িয়ে যান সেলিম। বিয়ের পর নাসরিন বিভিন্ন ঋণদান সমিতি থেকে ৬ লাখ টাকা ধার করে দেন সেলিমকে। সেই টাকা পরিশোধ করবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তিনি। এরপর ঋণের টাকার দেওয়ার জন্য চাপ দিলে সেলিম উল্টো যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে বলেন।

এছাড়া ৩১ জুলাই ঋণের টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হন নাসরিন। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ‘চুরির হাট’ ইপিজেড টু বিমানবন্দর সড়ক, ভাগ বসান পুলিশের সোর্স

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) কামরুল ইসলাম। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করছেন এএসআই সেলিম সরকার। তিনি বলেন, ওই মহিলা আসলে একজন বাটপার। আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। এ ব্যাপারে আমাকে আরো একটা পত্রিকা থেকে ফোন দিয়েছে। আমি শুরু করলে ওই মহিলা টিকতে পারবে না।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!